আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ফ্যাসিবাদী সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম দীর্ঘ তিন মাস আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই এবারত হোসেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি মানিকগঞ্জের সিংগাইরের চরদুর্গাপুরে ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন এবং এই সময়ে একবারের জন্যও বাড়ির বাইরে বের হননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমে নিজের বক্তব্যে এবারত জানান, মমতাজ আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় তার মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন এবং বাইরে থেকে কেউ যোগাযোগ করতে চাইলে তা হতো ভাইয়ের মাধ্যমে। এমনকি পরিবারের বাইরের কেউ জানতেনও না তিনি সেখানে আছেন। বাড়িটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকায় বাইরের কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলেই জানিয়ে দেওয়া হতো—বাড়িতে কেউ নেই।
এর আগে, গত সোমবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ধানমন্ডির একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
এবারত আরও জানান, পরে এক রাতে বোরকা পরে একটি কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে করে মমতাজ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে বান্ধবী নিপার নামে ভাড়া নেওয়া বাসায় ওঠেন। নিপার স্বামী প্রবাসে থাকায় মমতাজের সব দেখভাল করতেন নিপা এবং আর্থিক সহায়তা করতেন তার ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল।
মমতাজের তৃতীয় স্বামী ডা. এসএম মঈন হাসান মেসেঞ্জারে যুগান্তরের প্রতিবেদককে জানান, কিছুদিন তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর মেয়ের বাসাতেও ছিলেন বলে শুনেছেন। তবে সেই পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন সদস্য এই তথ্য অস্বীকার করেছেন।
ডা. মঈন আরও দাবি করেন, মমতাজের মহাখালী ডিওএইচএসে নিজের নামে থাকা বাড়ি বর্তমানে তার পিএস ও কথিত প্রেমিক জুয়েলের দখলে। যদিও জুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, তিনি থানায় সদ্য যোগ দিয়েছেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন।