বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গত মঙ্গলবার একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পাঁচজন সচিবের অপসারণ এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধের দাবিতে অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হকের অফিস ঘেরাও করেন। এই অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
উপসচিব হেনস্তার অভিযোগ
এ সময়, ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপসচিব জামিলা শবনমের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া ও তাকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠে অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এই আচরণে মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কেউ কেউ মিডিয়ার সাথেও কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
প্রশাসনের ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া
অনেক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্তদের এ আচরণকে অবৈধ ও অনৈতিক বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, এই ধরনের অবরোধ প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার অনুভব বাড়ায়। তাদের মতে, কোনো দাবির ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করাই ছিল যথাযথ পথ।
দাবি ও প্রতিক্রিয়া
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সদস্য সচিব কাজী মেরাজ হোসেন বলেন, “আমরা কেউকে অপমান করিনি, কেবল আমাদের দাবি তুলে ধরেছি।” তিনি জানান, জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে আলোচনায় তারা অংশ নিয়েছেন এবং ২০ মে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পেয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মত
জনপ্রশাসন বিশ্লেষক ও সাবেক সচিব একেএম আব্দুল আউয়াল মজুমদার জানান, “যেসব কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, তাদের পক্ষে নিয়োগ বা পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের অবরোধ প্রশাসনের সংস্কৃতি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।”