ডেক্স রিপোর্ট, দেশী বার্তা।

তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে শুধু নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। এ জন্য গণমাধ্যম, সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সব অংশের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এসব মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, আসন্ন নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। তিনি জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কমিশন নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ২১ লাখ মৃত ভোটারের নাম অপসারণ করা হয়েছে এবং নতুন করে প্রায় ৪৫ লাখ ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, যার ফলে বিপুলসংখ্যক নারী নতুনভাবে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসী নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনে নিবন্ধনের পর ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি একটি সমন্বিত ব্যবস্থা, যেখানে ডিজিটাল ও পোস্টাল ব্যালটের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার প্রচেষ্টায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে না—গণমাধ্যম, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। গণমাধ্যম জনমত তৈরি ও সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরও জানান, একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে চান। এজন্য ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন, যাতে তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সংলাপে চারজন নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।