ইসলামী বিশ্ব শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (আইসেকো)-এর মহাপরিচালক ড. সেলিম এম. আল মালিক সোমবার স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে ড. আল মালিক অধ্যাপক ইউনূস এবং তাঁর বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী উদ্যোগগুলোর প্রতি গভীর প্রশংসা প্রকাশ করেন। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি যখন মেডিকেল ছাত্র ছিলাম, তখনই প্রথম আপনার এবং গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে শুনি। আপনার ‘থ্রি জিরো থিওরি’ (শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ) সর্বত্র আলোচিত হতো, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে খেলাধুলা এবং পরিবেশগত আলোচনা পর্যন্ত। এটি সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক ছিল।”
ড. আল মালিক প্রধান উপদেষ্টার সংস্কার কর্মসূচি এবং একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বৃহত্তর দূরদর্শী পরিকল্পনার প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি নিশ্চিত করেন, “আমার আগমনের পর থেকে আমি বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি এবং জাতীয় সংস্কারের জন্য আপনাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জেনেছি। এর প্রতি আমার সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
তিনি অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো থিওরি’–কে যুব, শিক্ষা এবং পরিবেশগত উদ্যোগের জন্য আইসেকোর কৌশলগত কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি চান। ড. আল মালিক উল্লেখ করেন, “আমরা এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের মূল কৌশলের অংশ হিসেবে ‘থ্রি জিরো থিওরি’ গ্রহণ করার জন্য আপনার অনুমতি চাইতে এসেছি। আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়।”
আইসেকোর বর্তমান কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি জানান, “আমরা খাদ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নয়নে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করি। ব্রুনেই, আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো এরই মধ্যে সামাজিক ব্যবসায়িক মডেলে রূপান্তরিত উদ্যোক্তা উদ্যোগগুলো থেকে উপকৃত হয়েছে।”
জবাবে, অধ্যাপক ইউনূস শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে আইসেকোর প্রচেষ্টাগুলোর প্রশংসা করেন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলো জুড়ে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্ভাবনী সামাজিক ব্যবসায়িক সমাধানগুলো বিস্তৃত করতে ভবিষ্যতে সহযোগিতার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানান।
সভায় শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরারও উপস্থিত ছিলেন।