
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের একটি বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সোমবার (৬ অক্টোবর) সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ ও হীন উদ্দেশ্যে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সেনাবাহিনী জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কার্যক্রম উন্নত করার উপায় সন্ধানে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা (স্টাডি পিরিয়ড) অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই আলোচনায় বর্তমানে সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’ আরোপের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হয়। মূলত, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল CrPc ১৩২ ধারায় প্রদত্ত দায়মুক্তি (Indemnity) এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪) এর সাথে এর সাংঘর্ষিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয় যে, আলোচনার কোনো পর্যায়েই সেনাপ্রধান গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি (Indemnity) দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। বরং, CrPc-এর অধীনে সরকারি আদেশে দায়িত্ব পালনকারী সেনাসদস্যদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়, এবং বিষয়টি ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, এই অপপ্রচারের মাধ্যমে কুচক্রী মহলটি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। এমতাবস্থায়, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।