
পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে ডাকা অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের কমপক্ষে ২০টি দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বাজারের দোকানমালিকদের অধিকাংশ পাহাড়ি বলে জানা গেছে।
আজ রোববার দুপুরে গুইমারা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার পর কে বা কারা রামেসু বাজারে আগুন দেয়, যাতে বেশ কয়েকটি দোকান ও বাজারের পাশে থাকা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দ্বীপায়ন ত্রিপুরা এই আগুন দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য উপদেষ্টাসহ সরকারি শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে যখন জেলা প্রশাসকের অফিসে সভা চলছিল, ঠিক সেই সময় নিরীহ পাহাড়িদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, যা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ২০-২৫ জন লোক এসে রামেসু বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেন। এসব লোকের মুখে মুখোশ পরা ছিল। এ সময় দোকানপাট ও বসতবাড়ির সঙ্গে অনেকগুলো মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
জুম্ম ছাত্র-জনতা’র সংগঠক সুইচিসাই অভিযোগ করেছেন, দুপুর ১২টার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য রামেসু বাজার এলাকায় তল্লাশি ও মারমুখো ছিল। এর জবাবে এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকলে উভয়পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, এ সময় এলাকাবাসীর ওপর ছররা গুলি ছোঁড়া হয়, যাতে ৬-৭ জন গুরুতর জখম হয়েছে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী ফোনে গণমাধ্যমকে জানান, অবরোধ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে ঝামেলা চলছে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তিনি পরে বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন।