
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতে শুক্রবার নিউ ইয়র্কের হোটেলে তার স্যুইটে ডজনখানেক বিশ্ব নেতা সাক্ষাৎ করেছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে তাদের দক্ষতা ও সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
লাটভিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভায়রা ভেই-ফ্রেইবারগারের নেতৃত্বে এই উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। এই দলে ছিলেন স্লোভেনিয়া, সার্বিয়া, লাটভিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং মরিশাসের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এবং গ্রিসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানড্রেউ-সহ কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘের একাধিক প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
সাক্ষাৎকালে বক্তারা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রচারের জন্য তার আজীবন নিবেদিত কাজের প্রশংসা করেন। এক নেতা বলেন, “আমরা আপনাদের ও বাংলাদেশের মানুষকে সমর্থন করতে এসেছি। আমরা পুরোপুরি আপনার পিছনে আছি।”
নেতারা স্বীকার করেন যে ১৬ বছরের অপশাসন, দুর্নীতি ও শোষণের পর বাংলাদেশ গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারকে পুনর্গঠন এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নেভিগেট করতে সাহায্য করার জন্য তাদের দক্ষতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
কেরি কেনেডি, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে দেশের মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করেন। অন্যদিকে, জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি এর নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভার ঘোষণা করেন, তার ইনস্টিটিউট শীঘ্রই বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন ঘোষণা করবে।
অধ্যাপক ইউনূস এই সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জকে ১৫ বছর ধরে চলা রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি জানান, সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা এবং তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই তার প্রশাসনের মূল লক্ষ্য।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের জন্য তাদের সমর্থন, পরামর্শ এবং নৈতিক শক্তি প্রদানের আহ্বান জানান। সভায় এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।