
নিউইয়র্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারার ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বিবৃতিতে তিনি এই হামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘বহিষ্কৃত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সহযোগী ও সমর্থকদের’ কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিন্দনীয় ঘটনা শেখ হাসিনার আমলের ‘বিষাক্ত ও হিংস্র রাজনৈতিক সংস্কৃতির’ একটি বেদনাদায়ক উদাহরণ। অন্তর্বর্তী সরকার একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ঘটনার পর পর, অন্তর্বর্তী সরকার নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে এবং আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানায়। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ভিভিআইপি নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে অপ্রত্যাশিত ভিসা জটিলতার কারণে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। এর ফলে প্রতিনিধি দলটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে।
এই ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা এবং সকল অফিসিয়াল সদস্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সরকার বিদেশে তাদের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে রাজনৈতিক সহিংসতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না এবং এর বিরুদ্ধে আইনি ও কূটনৈতিক জবাব দেওয়া হবে।