
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলন্ত একটি বাসে যাত্রীদের মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯৯৯-এ (জাতীয় জরুরি সেবা) একজন যাত্রীর ফোনকলের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক ব্যক্তি ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, সীতাকুণ্ডের কাছাকাছি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আল-আরাফাত পরিবহণের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতি হচ্ছে এবং যাত্রীদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। খবর পেয়ে কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশ বাসটিকে সীতাকুণ্ডের তেরিয়ালবাজারে থামায় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, বাসের পেছনের সিটে বসা ওমর ফারুক হৃদয় (২৪) এবং তার স্ত্রী ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করছিলেন, যা দেখে কয়েকজন যাত্রী আপত্তি জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ ও হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর ওমর ফারুক ফোন করে তার কয়েকজন আত্মীয় ও বন্ধুকে ডাকেন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদিঘী এলাকায় ৭-৮ জন লোক চলন্ত বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের মারধর ও ভাঙচুর করে নেমে যায়। তবে বাসে থাকা ওমর ফারুক হৃদয় ও তার সহযোগী মনির (২০) বাস থেকে নামতে পারেননি। পরে হাইওয়ে পুলিশ ৯৯৯-এর তথ্যের ভিত্তিতে বাসটিকে থামিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।