
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য, কারো চাকরি করার জন্য নয়। তিনি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামতের ওপর জোর দিয়েছেন। তারেক রহমান এই বিবৃতিটি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বারবার স্বৈরাচারী শাসন গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই ধারা থেকে দেশকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন, জিয়ার সেই দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে স্বৈরতন্ত্রের হিংস্র আক্রমণ সহ্য করতে হয়েছে।
বিবৃতিতে তারেক রহমান অভিযোগ করেন যে, গত দেড় দশক ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কারণে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ ছিল।
বিবৃতিতে এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘অ্যাচিভিং জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যাকশন বাই অ্যাকশন’ নিয়েও কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকল লিঙ্গের মানুষের সমান সুযোগ ও মর্যাদা নিশ্চিত হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট একটি স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। তিনি বলেন, এখন ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সকল মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিবৃতির শেষে তারেক রহমান এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি, স্বনির্ভরতা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ।