
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই নেপালের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ (সংসদ) ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। ৬ মাসের মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেই তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সুপারিশটি এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বালুয়াতারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানোর পরপরই সুশীলা কার্কি সংসদ ভেঙে দেওয়ার এই সুপারিশ করেন।
সম্প্রতি নেপালে চলা টানা সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। ২০০৮ সালের মাওবাদী যুদ্ধের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকট ও তরুণদের বেকারত্বই এই সংকটের মূল কারণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নেপালে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন বেকার। এছাড়া, দেশটির মাথাপিছু আয় মাত্র ১,৪৪৭ ডলার।
প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তরুণদের একটি অংশ সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করে।
যুব আন্দোলনের নেতারা বলছেন, তারা একটি ‘নতুন নেপাল’ গড়তে চান। ২৪ বছর বয়সী আন্দোলনকারী জেমস কার্কি বলেন, “আমরা পরিবর্তনের জন্য লড়ছি। আশা করি সেনাবাহিনী আমাদের কথা শুনবে।”