
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়েও সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। আজ বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের উন্নয়ন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ডাকসু নির্বাচনে জগন্নাথ হলে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদে সাদিকের ১০টি ভোট পাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগের সমর্থনে শিবির জয়ী হয়নি। বরং ছাত্রদল ও বাম সমর্থিত প্রার্থীরা বেশি ভোট পেয়েছে। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে কোনোভাবেই “ইসলামপন্থী বা মৌলবাদীদের জয়” হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তার মতে, শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো মতাদর্শ দেখেনি, বরং এমন প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে যাদেরকে ভোট দিলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে।
এই কারণেই ডাকসু নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি শিক্ষণীয় মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। অতীতের তুলনায় এবারের ডাকসু নির্বাচনকে তিনি “শ্রেষ্ঠ নির্বাচন” বলেও মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি না হওয়ার কোনো কারণ তিনি দেখছেন না। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি মুলাদী ও বাবুগঞ্জ থানার মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণসহ শতাধিক রাস্তা ও স্কুল সংস্কারে এবি পার্টির অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
এ সময় বরিশাল জেলা ও মহানগর সদস্য সচিব জি এম রাব্বী, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন তালুকদার, যুগ্ম সদস্য সচিব তানভির আহমেদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।