
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যে চলমান অসন্তোষ নিরসনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। এরই মধ্যে পবিসের কিছু কর্মচারী তথাকথিত ‘গণছুটি’তে যাওয়ায় সরকার তাদের অবিলম্বে কাজে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় তাদের গণছুটির আবেদন স্থায়ী ছুটিতে রূপান্তর করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
পবিসের কিছু কর্মচারী গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ‘গণছুটি’র নামে কাজে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং অন্যদের কাজে বাধা দিচ্ছেন। যদিও সরকার এরই মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করছে। বাপবিবো এবং পবিসের মধ্যকার অসন্তোষ নিরসনে বিদ্যুৎ বিভাগ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন পাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে সাময়িক বরখাস্তকৃতদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন, সরকার তাদের বরখাস্তের আদেশ পুনর্বিবেচনা করবে।
পবিস কর্মীদের অন্যতম দাবি ছিল বাপবিবোর ক্রয় কার্যক্রমের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ। এই বিষয়ে সরকার একজন সাবেক সচিবের নেতৃত্বে একটি নতুন কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি গত পাঁচ বছরের ক্রয় প্রক্রিয়া, দরপত্র পদ্ধতি এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়ম যাচাই করে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।
এছাড়াও, পবিসের ভবিষ্যৎ কাঠামো সম্পর্কে ইতিপূর্বে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং অন্যান্য অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কার্যক্রম চলছে। এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদী, কারণ এতে আইন সংশোধন, আর্থিক পর্যালোচনা এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর মতামত গ্রহণ প্রয়োজন। পাশাপাশি, পবিস কর্মচারীদের চাকরি বিধিমালাও হালনাগাদ করা হবে, যাতে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করা যায়।
বিদ্যুৎ বিভাগ আবারও সব কর্মচারীকে কাজে যোগদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায়, বিদ্যুতের মতো একটি অত্যাবশ্যকীয় সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মচারীদের গণছুটির আবেদন গ্রহণ করে তা স্থায়ী ছুটিতে রূপান্তর করতে সরকার বাধ্য হবে।