
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট শুধু একটি তারিখ নয়, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবিক রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকারের দিন হওয়া উচিত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বার্ষিকীতে মঙ্গলবার তিনি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল দেশের জন্য একটি নতুন ইতিহাসের সূচনা, যেখানে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জমে থাকা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ফেটে পড়ে। এদিন থেকে শুরু হয় গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার যাত্রা।
তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে ছিল, যেখানে গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন ছিল সাধারণ ঘটনা। সেই সময়ে ‘আয়নাঘর’ নামে গোপন কারাগার গড়ে ওঠে, যেখানে অনেক মানুষ অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পুনর্জাগরণ ঘটে ২০২৪ সালের এই গণঅভ্যুত্থানে। দেশের মানুষ আর কখনোই ফ্যাসিবাদের অধীনে বসবাস করবে না এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারেক রহমানের বক্তব্যে ছিল, দেশের সকল মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ও সমানাধিকারের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে উপস্থাপন করবে এবং জনগণ তাদের পছন্দমতো ভোট প্রদান করবে।
তিনি সকল রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে ভিন্নমত প্রকাশ ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা প্রয়োজন।
শেষে তিনি বলেন, জনগণকে শক্তিশালী করতেই হবে, কারণ জনগণই দেশের প্রকৃত মালিক এবং যতোদিন জনগণকে ক্ষমতায় আনতে না পারব ততদিন কোনো প্রতিষ্ঠানই টেকসই ও শক্তিশালী হবে না।