
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তবে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারলে এসব মোকাবিলা সম্ভব।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় নওগাঁ শহরের একটি কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান জানান, বিএনপি সবসময় এমন কাজ করে যা দেশ ও জনগণের কল্যাণে আসে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ঘোষিত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার অতীতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে এবং দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। সে সময় রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বিএনপি ৩১ দফা দাবি উত্থাপন করেছিল। এখন যারা সংস্কারের কথা বলছে, বিএনপি তা আড়াই বছর আগেই করেছে। বিএনপির অভিজ্ঞতা আছে কীভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি, নারীর শিক্ষা উন্নয়ন এবং শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হয়।
সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যোগ্য ও সক্ষম ব্যক্তিদের হাতে দলের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যিনি বলেন এবারের নির্বাচন কঠিন হবে এবং আওয়ামী লীগ প্রকাশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের শান্তি তারেক রহমানের নির্দেশনার কারণে বজায় রয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সম্মেলনে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস.এম. রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, এ.এইচ.এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, সাবেক সভাপতি সামসুজ্জোহা খান, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশাসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর আয়োজিত এই দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ১,৪১৪। জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় ১৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে ২০১০ সালের কাউন্সিলে সামসুজ্জোহা খান সভাপতি, জাহিদুল ইসলাম ধলু সাধারণ সম্পাদক এবং মামুনুর রহমান রিপন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে কমিটি বিলুপ্তির পর নতুন নেতৃত্ব গঠিত হয়নি, তবে ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়।