
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বড় পরিসরে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুলশান নগর ভবনে অনুষ্ঠিত অষ্টম কর্পোরেশন সভায় ২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সভায় প্রশাসক জানান, আগে বছরে মাত্র ৯০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তির আওতায় আনা হতো। এবার এই সংখ্যা বাড়িয়ে ২ হাজার করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভেদে চারটি স্তরে বৃত্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা মাসিক বৃত্তি পাবে।
এছাড়া, ১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই আন্দোলন’-এ শহিদদের স্মরণে স্মৃতি চিহ্ন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আন্দোলনে নিহতদের যেসব স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়, সেসব স্থানে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্টাম্প’ বসানো হবে। পাশাপাশি রায়েরবাজার, মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানসহ বিভিন্ন কবরস্থানে শহিদদের কবর বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা হবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ স্মৃতি পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আবারও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে গুলশান সোসাইটি, বনানী স্পোর্টস এরিনা ও অন্যান্য স্থানীয় সংগঠনকে পার্ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রদান করা হবে। গুলশান এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষামূলকভাবে ছয় মাসের জন্য গুলশান সোসাইটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে কার্যকর হবে।
সভায় ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, মার্কেট ব্যবস্থাপনা ও নগর পরিকল্পনার নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়।
সভা শেষে প্রশাসক বলেন, “নগরবাসীর সহযোগিতায় আমরা একটি ন্যায্য ও টেকসই ঢাকা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।”
এই সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগর পরিচালনায় জবাবদিহিতা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।