নতুন অধ্যাদেশে ১২০ দিনের মধ্যে গুম মামলার বিচার বাধ্যতামূলক

নতুন অধ্যাদেশে ১২০ দিনের মধ্যে গুম মামলার বিচার বাধ্যতামূলক

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। এই খসড়ায় গুমকে একটি চলমান গুরুতর অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হলেও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা আরও আলোচনা শেষে ফের বৈঠকে তোলা হবে। বৈঠকটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, খসড়ায় গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন বা ব্যবহারের বিষয়টিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী, তথ্য প্রদানকারী ও সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ ও আইনগত সহায়তার নিশ্চয়তার বিধানও রাখা হয়েছে।

শফিকুল আলম আরও জানান, আজকে শুধুমাত্র নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খসড়া নিয়ে আরও আলোচনা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি আবারও উপদেষ্টা পরিষদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *