নীরফামারীর জলঢাকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন।

মোঃ জামিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।

নীরফামারীর জলঢাকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন।
নীরফামারীর জলঢাকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন।

নীরফামারীর জলঢাকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন। এসময় সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন সাংবাদিক দের বলেন
প্রিয় সংবাদকর্মী, সকল পর্যায়ের প্রশাসন ও জলঢাকা উপজেলাবাসী ।
আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ও অন্যন্য জাতীর প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন ।

আপনারা সকলে অবগত আছেন যে,
সাম্প্রতিক সময়ে জলঢাকা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস এর দূর্নীতিকে কেন্দ্র করে কিছু দলিল লেখক ও নকলনবিশের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে “জলঢাকা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ” এর পক্ষে আনোয়ার হোসেন এবং আমাদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উক্ত কর্মসূচিতে আমাদের বিরুদ্ধে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা, নন জুডিশিয়াল স্বাক্ষরকৃত স্ট্যাম্প ও ফাঁকা স্ট্যাম্প ছিনিয়ে নেওয়া এবং চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে—যার কোনোটি সত্য নয় এবং যার কোনো প্রকার প্রমাণও নেই। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই, আমি ও আমার সহকর্মীরা কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, হামলা কিংবা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কখনোই জড়িত ছিল না।

প্রকৃত বাস্তবতা হলো, দীর্ঘদিন ধরে জলঢাকা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্লা গং এর চলমান নানা অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা দলমত নির্বিশেষে “জলঢাকা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ” এর ব্যানারে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, দুদক চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নিবন্ধন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, নীলফামারীর জেলা রেজিস্ট্রার, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জলঢাকা অফিসার ইনচার্জ, এনএসআই নীলফামারী, ডিএসবি নীলফামারী সহ বিভিন্ন দপ্তরে সংযুক্তি সহকারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং তা বর্তমানে নিবন্ধন অধিদপ্তর এর অধীনে তদন্তাধীন রয়েছে। অসংখ্য ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতিবাজ সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্লা গং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় একটি স্বার্থান্বেষী, অপকর্মকারী ও সাধারণ মানুষদের জিম্মিকারী কিছু দালাল দলিল লেখক সহ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেই ক্ষোভ থেকেই নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে “শাক দিয়ে মাছ ঢাকা”র উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।

মোঃ আনোয়ার হোসেন-কে সহ “জলঢাকা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ” এর নেতৃত্বদানকারী ব্যাক্তিদের নিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও আমাদের সম্মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে আমাকে সহ দূর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের আওয়ামী লীগের দোসর ও চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অসত্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মানহানিকর কর্মকান্ড। গত ১৭/১২/২০২৫ ইং তারিখ বিকেলে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে মাত্র ১০ মিনিটের একটি মানববন্ধনের মাধ্যমে ব্যানারের মাঝে “জলঢাকা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ” এর নেতৃত্বদানকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন (সমাজকর্মী) এর ছবি ব্যবহার করে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে তাতে সম্মানী মানুষ হিসেবে মোঃ আনোয়ার হোসেন (সমাজকর্মী) এর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে, এজন্য সংশ্লিস্ট জড়িতদের মানহানিকর কর্মকান্ড এর বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে আমাদের ল-ইয়ার কাজ করছে।

একই তারিখে আনুমানিক দুপুর ১.০০ ঘটিকার সময় জলঢাকা থানা হইতে কালিবাড়ী রোডে জলঢাকা সাবরেজিস্ট্রি অফিস এর সামনের রাস্তার মাঝে নন-জুডিশিয়াল ফাঁকা ৩০০ টাকার পিনআপ যুক্ত স্বাক্ষর করা ১৩ সেটে (৩৯টি স্ট্যাম্প) ও নন-জুডিশিয়াল ফাঁকা ৩০০ টাকার পিনআপ যুক্ত ১৮ সেটে (৫৪টি স্ট্যাম্প) পওয়া গেলে সেখানে বিভিন্ন জন বিভিন্ন মন্তব্য করে ও লোকজনের জটলা বাধে,
তৎপ্রেক্ষিতে “জলঢাকা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ” এর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কিছু সময় পর আনুমানিক দুপুর ১:৪৫ ঘটিকার সময় জোহর নামাজ চলাকালীন সময়ে সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্লা গং এর দূর্নীতিতে মদদ দাতা দলিল লেখক মোঃ আমজাদ হোসেন (বগুলাগাড়ী), আনিছুর রহমান (খুটামারা), সাইদুল ইসলাম আলম (খুটামারা),
আব্বাস আলী (কাঠালী) এদের নেতৃত্বে ৫০/৬০জন সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে থানায় অতর্কিতভাবে ঢুকে পড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার সাথে অসদাচারন করে যাহা প্রশাসনকে সরাসরি হুমকি প্রদর্শন ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদান।

আমরা এ সকল ঘটনায় প্রশাসনের নিকট একটি সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রূত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

পরিশেষে, যেসকল সাংবাদিক ভাইয়েরা এ বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত উৎসাহের বশবর্তী হয়ে দূর্নীতিবাজ সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্লা ও দলিল লেখক সমিতির দূর্নীতিবাজ সদস্যদের দূর্নীতি আড়াল করতে একতরফা বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ জনগণের স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে যাচাই-বাছাইবিহীন ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি—ভবিষ্যতে কোনো প্রকার প্রলোভন বা স্বার্থের কাছে নতি স্বীকার না করে পেশাগত নৈতিকতা ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আদর্শ অনুসরণ করে ঘটনার প্রকৃত, নিরপেক্ষ ও সত্য তথ্য অনুসন্ধান করে সংবাদ প্রকাশ করবেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমেই প্রকৃত সত্য বিষয় জনসমক্ষে উঠে আসবে এবং সকল বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে, ইনশাআল্লাহ।
নিবেদক
“জলঢাকা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ” এর পক্ষে
মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ আরো অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *