মোঃ আল আমিন রনি, চাঁদপুর, দেশীবার্তা, ৩১মে ২০২৫, শনিবার।

বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে তাঁকে হত্যা করে।
স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন। তাই তাকে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক বলা হয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের সমন্বয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠায় স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জিয়াউর রহমান। শহীদ জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক এক কালজয়ী দর্শন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। প্রতি বছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে টানা ৮ দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে হাইমচর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে হাইমচর উপজেলা হাসপাতাল জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইমচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব এবং দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল জলিল মাষ্টার, গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন গাজী, মোঃ মহসিন মিয়া কিশোর, মোঃ বাদল ঢালী, মোঃ বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, মোঃ নাছির সরদার। উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ ফারুক পেদা, মোঃ নুরে আলম ঝিকু, যুবদলের সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন আসিফ, মোঃ জুয়েল হোসেন, মোঃ জাকির সরদার, মোঃ আল আমিন হোসেন রনি, মোঃ নেছার সিকদার। উপজেলা ছাত্রদলের নেতা মোঃ আল আমিন, মোঃ শাকিল পাটওয়ারী, মোঃ মনির হোসেন গাজী সহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সরদার আব্দুল জলিল মাষ্টার বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।
দেশকে যখন তিনি সামনের দিকে নিয়ে চলতে শুরু করেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে তাঁকে হত্যা করে। জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে শহীদ জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়। যা বর্তমানে ‘জিয়া উদ্যান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।