
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় র্যাব পরিচয়ে এক কোটি টাকার বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও উত্তরা থানা পুলিশ। অভিযানে নগদ ২২ লাখ টাকার বেশি, ব্যাংকে গচ্ছিত আরও ১২ লাখ টাকা, একটি হাইয়েস গাড়ি ও নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

গত ১৪ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগদ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন তাঁর চার কর্মচারীসহ চারটি ব্যাগে এক কোটি আট লাখ ১১ হাজার টাকা নিয়ে উত্তরা অফিসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কালো রঙের একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে থাকা অস্ত্রধারী ৬-৭ জন লোক ‘র্যাব’ লেখা জ্যাকেট পরে টাকার গাড়ি থামায় এবং জোরপূর্বক টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়। তিনজন কর্মচারীকে চোখ ও হাত বেঁধে মারধর করে অপহরণ করা হয় এবং পরে তুরাগ এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
ঘটনার পরপরই উত্তরা বিভাগ ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম তদন্তে নামে। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন:
১. মো. হাসান – হাইয়েস গাড়ির চালক
২. গোলাম মোস্তফা ওরফে শাহিন – চক্রের মূলহোতা, সাবেক পুলিশ সদস্য
৩. শেখ মো. জালাল উদ্দিন ওরফে রবিউল – অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট
৪. মো. ইমদাদুল শরীফ
৫. মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে শিপন
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় –
- নগদ ২২,১০,৭৮০ টাকা
- ব্যাংকে গচ্ছিত ১২ লক্ষ টাকা
- র্যাব-পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র
- লাঠি, সিগনাল লাইট
- সেনাবাহিনীর লোগোসহ মানিব্যাগ
- বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই
- ছয়টি মোবাইল ফোন
ডিবি জানায়, মোস্তফা ও জালাল উভয়ে নিজেদের র্যাব ও ক্যাপ্টেন পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল। মামলার তদন্ত চলছে এবং বাকি টাকাসহ জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।