
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবরে বলা হয়, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসবে— এমন আশা থেকেই ট্রাম্প আপাতত হামলা স্থগিত রেখেছেন।
তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, “ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইরানের বিষয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না!”
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুধবার।
এই প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বড় ধরনের সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করবে। তিনি বলেন, “এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের একমাত্র পথ কূটনৈতিক আলোচনা। আমরা আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান খোঁজা উচিত।”
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আগামীকাল (শুক্রবার) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাসের সঙ্গেও আলাদা বৈঠকের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ।
বৈঠক নিয়ে নানা আলোচনা চলতে থাকায় এক সাক্ষাৎকারে আরাঘচি বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, “ইরান সবসময় কূটনীতিকে প্রাধান্য দেয়, আমরা আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত।”