
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং বকেয়া বিল আদায়ে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। রবিবার (২২ জুন) বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ অভিযানে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস জোবিআই বন্দর-এর আওতায় মদনপুর বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়। ভাই ভাই, আজমেরী, নিরালা-২, চাচা ভাতিজা ও আল মদিনা হোটেলের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখ সিলগালা করা হয়। ১১টি স্টার বার্নার, ৭টি মডিফাইড বার্নার, ৫টি কম্প্রেসর বার্নারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। জরিমানা হিসেবে ১,০৫,০০০ টাকা আদায় এবং ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
একই দিনে ইস্ট টাউন আবাসিক এলাকায় ২৫টি আবাসিক চুলার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ১০০ ফুট এমএস পাইপ, ২০০ ফুট জিআই পাইপ, বিভিন্ন বার্নার, চুলা, রেগুলেটর ও কম্প্রেসর যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
টাঙ্গাইল অভিযানে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে গোড়াই ও মির্জাপুর এলাকায় ৯টি আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আনুমানিক ৫৪০ ফুট পাইপ, ৯টি রেগুলেটর ও ৫টি লক উইং কক জব্দ করা হয়। জরিমানা আদায় হয়েছে ২,৯০,০০০ টাকা।
কেরানীগঞ্জে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে কোন্ডা ইউনিয়নের আইন্তা বাজারে ৩টি অবৈধ কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৪টি বুস্টার ও ৫০ ফুট পাইপ জব্দ করা হয়। কারখানা থেকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।