
বিএনপি জানিয়েছে, একজন ব্যক্তি একসাথে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা হতে পারবেন কি না—এ বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। বিএনপির মতে, এটি একটি দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা আরোপ করা অনুচিত।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এই বিষয়ে দলটি ইতিমধ্যে লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক উদাহরণ তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, যেমন যুক্তরাজ্যেও সাধারণত দলের প্রধান ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, পার্লামেন্টারি পার্টি যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। আবার চাইলে অন্য কাউকেও মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব। এই বিকল্পটি গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল প্রসঙ্গে বিএনপি জানায়, তারা আদালতের রায়ের প্রতি আস্থা রাখে। তবে আদালতের রায় না এলেও, জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে পারে।
কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে, যেখানে বিচার বিভাগকে বিতর্কের বাইরে রাখার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএনপি জানায়, তারা দলীয়ভাবে এটি নিয়ে পর্যালোচনা করবে এবং পরবর্তী সভায় মত জানাবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাইয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, হুইপ এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এভাবে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একজন নাগরিককে নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় জরুরি পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ৩০ দিনের সময় বর্ধিত করার সুযোগ থাকবে।