জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে সমাবেশ করেছেন। পবিত্র জুমার নামাজের পর বেলা সোয়া ২টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়, যেখানে সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনাইরাও উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের সময় প্রথমে সকাল ১০টা নির্ধারণ করা হলেও পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন সময় পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।
সমাবেশে বক্তারা জানান, তিন দফা দাবি বাস্তবসম্মত এবং এগুলো মেনে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, দাবিগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এছাড়াও পূর্বের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করা হয়।
সাবেক ছাত্রদল নেতা মাকসুদুর রহমান এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ মার্ক্সবাদী) এর মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসন এবং বাজেট বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। সরকারকে এগুলো মেনে নিতে হবে এবং পুলিশি হামলার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
পল্টন থানা জামায়াতের আমির ও জবি সাবেক শিক্ষার্থী শাহীন আহমেদ খানও সংহতি প্রকাশ করেন এবং দাবি না মানলে বড় পরিসরে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান ও বিপ্লবী গান পরিবেশন করেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীরা ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান নিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে গত বুধবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রাকালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামানে আহত হন অর্ধশতাধিক। এরপর থেকে তাঁরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিন দফা দাবিগুলো হলো:
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা চালু করা।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ বাজেট বিনা কাটছাঁটে অনুমোদন করা।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করা।