
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সুইডেন সরকারের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সিডার অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব এমওইএফসিসি, ডিওই অ্যান্ড বিএফডি ফর ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্রুভড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তিপত্র উপদেষ্টার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী।
উপদেষ্টা জানান, প্রকল্পটির আওতায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার তদারকি, এবং ‘ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।
এর আগে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে এই অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) ড. এ কে এম শাহাবুদ্দিন এবং সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মারিয়া স্ট্রিডসম্যান।
প্রকল্পটির মোট বাজেট ৫০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা এবং তা তিনটি মূল উপাদানের ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে:
প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রম চালানো হবে।
সোনাদিয়া দ্বীপসহ গুরুত্বপূর্ণ ইসিএ এলাকাগুলোর পুনরুদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমে স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
‘ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনের মাধ্যমে বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণে টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করা হবে, যাতে সরকারি বাজেটের ওপর নির্ভরতা হ্রাস পায়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর দূষণ পর্যবেক্ষণে প্রযুক্তি সংযোজন, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র, ম্যানগ্রোভ পুনঃস্থাপন এবং স্থানীয় গ্রামে ভিলেজ কনজারভেশন গ্রুপ গঠনের কাজও হবে।