
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সরকারি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। যেখানে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ২৪%, ১৭.১৬% এবং ৩৯.৭% বিদ্যুৎ সৌরশক্তি থেকে উৎপাদন করে, সেখানে বাংলাদেশে এই হার মাত্র ৫.৬%। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার ২০% এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০%-এ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যেই ৫২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৫টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা বাস্তবায়নে সময় লাগবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। তাই স্বল্পমেয়াদে কার্যকর রুফটপ সোলার প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সরকারি ভবনের ছাদ বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের ব্যবহারে দিলে তারা সোলার প্যানেল স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে পারবে। এতে করে সরকারের খরচ ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।
এ প্রক্রিয়ার আওতায় সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাসপাতালগুলো সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে আলাদা করে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না। বরং উৎপাদিত সৌরবিদ্যুতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়াও পাবে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।