
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ শুক্রবার (৮ আগস্ট) এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সাংবাদিক তুহিন ঘটনাস্থলে একটি ভিডিও ধারণ করছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক প্রকাশ্যে এক তরুণীকে মারধর করছেন। তখন কয়েকজন অস্ত্রধারী যুবক চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে ওই যুবকের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। তুহিন ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে।
তুহিন প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে আশ্রয় নেন ঈদগাহ মার্কেট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তার পেছনে এসে দোকানের মধ্যে ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা পরে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানির বক্তব্য অনুযায়ী, “সাংবাদিক তুহিন দোকানে এসেছিলেন, তার কিছুক্ষণ পর পাঁচ-ছয়জন লোক রামদা, চাপাতি ও ছুরি নিয়ে এসে তাকে কুপাতে থাকে। আমরা থামানোর জন্য অনুরোধ করলে তারা গালিগালাজ করে আমাকে ধমকায়।”
নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি দৈনিক প্রতিদিন পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতেন এবং বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম-উত্তর) মো. রবিউল হাসান জানান, ভিডিও ধারণের কারণে তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিভিন্ন দল অভিযান চালাচ্ছে। দোষীদের আটক করলে পুরো ঘটনা পরিষ্কার হবে।