পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শেষে রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ পাকিস্তানেই রয়ে গেছেন। কারণ, আজ থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাকিব আল হাসান—যিনি বর্তমানে পাকিস্তানে না থাকলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাঁর অনুপস্থিতি নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।
গত বছর অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট ছিল সাকিবের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে তিনি ঘোষণা দেন, দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে চান। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। সাকিব ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, আর দলটি ক্ষমতা হারায় গত ৫ আগস্ট। এরপর থেকে তিনি দেশে ফেরেননি।
এছাড়া বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে নিষেধাজ্ঞায় পড়েন, যেটি থেকে মুক্তি পান চলতি বছরের মার্চে। এরপর পিএসএলে মাঠে ফেরেন। তবে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে বল হাতে ৩ ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে কোনো রান না করে হতাশই করেন।
তবুও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিবকে পুরোপুরি ছাড়তে রাজি নয়। বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান বলেন, “সাকিব সব সময় নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় থাকবে। সে একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। তার বোলিং অ্যাকশন ঠিক হয়েছে, এখন শুধু ধারাবাহিকভাবে খেলা প্রয়োজন।”
এদিকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও আশাব্যঞ্জক নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলের কাছে সিরিজ হার দলের গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। সিনিয়র খেলোয়াড়দের (সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ) অনুপস্থিতি দলে বড় ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।
ইফতেখার রহমান আরও বলেন, “আমাদের দলটি এখন তরুণ, কিন্তু প্রতিভাবান। তাদের খেলতে দিতে হবে। যত বেশি অভিজ্ঞতা পাবে, তত ভালো করবে। এখন যেখানে আছি, সেখান থেকে উন্নতির দিকেই যেতে হবে।”
সাকিবের দলে ফেরা হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাঁর অবদান এবং উপস্থিতির শূন্যতা এখনও স্পষ্ট।