ময়মনসিংহে রওশন এরশাদের পৈতৃক ভিটায় হামলা

ময়মনসিংহের কেন্দ্রস্থলে জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের পুরনো বাড়িতে সাম্প্রতিক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ মহানগর শাখা জানিয়েছে—এই ঘটনায় সংগঠনের কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছিল না, বরং তাদের নাম ব্যবহার করে কিছু অজ্ঞাতচক্র এমন তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সংগঠনটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে আক্রমণের পক্ষপাতী নয় এবং সহিংস কর্মকাণ্ডকে তারা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

সংগঠনের আহ্বায়ক মো. অলি উল্লাহ এবং সদস্যসচিব আল নূর মোহাম্মদ আয়াস স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়, একটি বিশেষ গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংগঠনের পরিচয় ব্যবহার করেছে। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায় যেন তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হয় এবং নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন।

এই ঘটনার পর সংগঠনের একজন নেতা ওয়ালিদ আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠন সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে।

ওয়ালিদ আহমেদ এ বিষয়ে জানান, তাকে যাঁরা শোকজ করেছেন, তাদের এমন কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জানিয়েছেন এবং আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন।

রওশন এরশাদের পরিবার বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায়, পুরনো এই বাড়ির তত্ত্বাবধান করতেন জাতীয় পার্টির এক সাবেক নেতা। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল ‘কুটুমবাড়ি’ নামের একটি রেস্তোরাঁকে। সেই স্থাপনাতেই ভাঙচুর হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে, এ ঘটনা নতুন নয়। কয়েক মাস আগেই এই বাড়িকে ‘দালাল মহল’ হিসেবে উল্লেখ করে একটি অংশ প্রতিবাদ জানায় এবং ভবিষ্যতে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিও তোলে।

তবে সংগঠনের নেতারা বলছেন, এ ধরনের আন্দোলন ও কার্যক্রম পরিচালনার পূর্বে কেন্দ্রীয় অনুমতি ছাড়া কেউ যদি পদক্ষেপ নেয় এবং সেটি যদি সহিংস হয়, তবে সংগঠন তার দায় নেবে না।

জেলা শাখার এক নেতা জানান, রাজনৈতিক ইতিহাসের কারণে এই ভবন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে সহিংসতার পথ বেছে না নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশই হবে সংগঠনের মূলনীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *