
রাজধানীর গুলশানে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ-এর বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ঘটনাটির সূত্র ধরে কলাবাগান থানায় আলাদা একটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিবি জানায়, গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে রিয়াদের বাসায় চালানো অভিযানে ২.২৫ কোটি টাকার চেক ছাড়াও প্রায় ২০ লাখ টাকার এফডিআরের নথি জব্দ করা হয়।
এর আগে ২৬ জুলাই গুলশান-২ এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদার টাকা নিতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন—রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও শিশু আমিনুল ইসলাম। অপু অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে; বাকি চারজন রিমান্ডে রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠনের নীতিমালা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব-কে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখতে নির্দেশনা দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদাবাজি মামলার পাশাপাশি চেক ও এফডিআর নথি উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।