
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনৈতিক পরিবেশে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি সম্মান ও বোঝাপড়া না থাকে, তবে কাদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে রাজনীতিতে তিক্ততা সৃষ্টি হবে, যা ভবিষ্যতে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভাটির আয়োজন করে জাতীয় প্রেসক্লাব।
আলোচনা সভার আগে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ এবং জুলাই ছাত্র গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণে একটি ফটো প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় প্রেসক্লাব কর্তৃক নির্যাতিত ও জুলুমের শিকার পাঁচজন বিশিষ্ট সম্পাদককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন— মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউজ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবির, আমার দেশ-এর মাহমুদুর রহমান, যায়যায়দিনের শফিক রেহমান এবং দৈনিক সংগ্রামের আবুল আসাদ।
সভায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শহীদদের পরিবারের সদস্য, সাংবাদিক ও কবিরা। এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং মানবজমিনের সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া এবং যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, যিনি গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সময়টা বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা তৈরির উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, “সব সমস্যার সমাধান একবারেই হবে না, তবে আলোচনার মাধ্যমে একটি গঠনমূলক পথ তৈরি করা সম্ভব।”
তিনি আরও জানান, ১২টি মৌলিক বিষয়ের ওপর ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমত হয়েছে এবং লন্ডনের বৈঠক অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।