
গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের ব্যক্তিগত ফেসবুক স্টোরিতে একটি চাকরির প্রবেশপত্র প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, প্রার্থীর পক্ষে সুপারিশ করেছেন জামায়াতে ইসলামী থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান।
প্রবেশপত্রটি প্রকাশের কিছু সময় পর স্টোরি থেকে মুছে ফেলা হলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ততক্ষণে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। বিষয়টি স্বীকার করে উপ-উপাচার্য একটি ব্যাখ্যামূলক পোস্ট দেন।
তিনি জানান, “প্রতিদিনই অনেক প্রার্থীর সিভি ও প্রবেশপত্র আসে। এক সাবেক এমপি ফোন করে একজন প্রার্থীর কথা বলেছিলেন। এমন আরও ডজনখানেক সুপারিশ আসে। তবে এগুলোর কোনো প্রভাব লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় পড়ে না।”
তবে, সাবেক এমপি লতিফুর রহমান সমকালকে দেওয়া বক্তব্যে স্বীকার করেন, তিনি ফোনে উপ-উপাচার্যকে সুপারিশ করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি শুধু বলেছিলাম, আবেদনকারীর রেজাল্ট ভালো, তার কাগজপত্রটা দেখবেন। এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।”
ঘটনার পরপরই সাবেক ছাত্রনেতাসহ সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ সব সুপারিশ প্রকাশের দাবি জানান, কেউ আবার পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব স্বীকার করেন, “যদিও দেশে বড় পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু সুপারিশের সংস্কৃতি থেমে নেই। এখনও শত শত তদবির আসছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আমরা অন্যায় বা দুর্নীতিকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেব না।”
উল্লেখ্য, প্রার্থী আজমীরা আফরিন আগামী ৪ আগস্ট শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তাঁর আবেদন ঘিরেই পুরো বিতর্কের সূত্রপাত।