সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ একটি বিশদ বক্তব্য প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা পদে অব্যহতি না দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, দেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনের জন্য তিনি অপরিহার্য।”
ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ আরও বলেন, বর্তমান ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে। উপদেষ্টাদেরকে বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে এবং দেশের জনগণের সামনে দৃশ্যমান অগ্রগতি উপস্থাপন করতে হবে। তিনি যোগ করেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর প্রফেসর সাফল্যের প্রতিফলন দেখানো গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব সরকারের উপর জোর দেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিবিড় আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন। ফাইজ় তাইয়েব বলেছেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা, সেটা কেউ ভঙ্গ করতে পারবে না।”
নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে থাকবে। এছাড়া, তিনি দেশের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারী সরকারের বিচার প্রসঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ফাইজ় তাইয়েব আহমেদের বক্তব্যের শেষাংশে দেশের প্রতি সমর্থন ও প্রত্যয়ের নিদর্শন হিসেবে তিনি বলেন,
“ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
এই বক্তব্য বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নির্বাচনের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা ও আশা প্রকম্পিত করছে।
