
এখন থেকে জাতীয় পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী একজন চাঁদাদাতা ৬০ বছর বয়সে পৌঁছালে তার জমাকৃত অর্থের ৩০ শতাংশ এককালীন টাকা তুলে নিতে পারবেন। এতদিন এককালীন টাকা তোলার কোন সুযোগ ছিল না। আজ, ১৪ মে, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভা অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পেনশন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ৬০ বছর বয়সে পৌঁছানো পেনশন স্কিমের চাঁদাদাতা ব্যক্তি তার জমাকৃত অর্থের ৩০ শতাংশ এককালীন হিসেবে তুলে নিতে পারবেন, এবং অন্য সকল সুবিধা বজায় থাকবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, “যে কেউ এককালীন ৩০ শতাংশ টাকা তুলতে পারবেন। তবে, যদি কেউ এই টাকা না তোলেন, তবে তার মাসিক পেনশনের পরিমাণ কিছুটা বেশি হবে।”
সভায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
১. পেনশনযোগ্য বয়সে পৌঁছালে চাঁদাদাতা ৩০ শতাংশ টাকা এককালীন তোলার সুযোগ পাবেন।
২. প্রবাস ও প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাদের জন্য মাসিক চাঁদার সর্বনিম্ন হার এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল দুই হাজার টাকা।
৩. প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি আয় করেন, তাদের জন্য সর্বোচ্চ মাসিক জমার পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১০ হাজার টাকা।
৪. আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের জন্য প্রগতি পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত।
৫. জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএসএ) সদস্যপদ গ্রহণ করবে।
৬. সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালুর বিষয়ে পরবর্তী সভায় আলোচনা করা হবে।