
কুমিল্লার মুরাদনগরে সংঘটিত নারী নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে চান নির্যাতনের শিকার ওই নারী। তিনি জানান, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের সংঘর্ষ সৃষ্টি না হয়, সে চিন্তা থেকেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী।
সোমবার (৩০ জুন) নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে ওই নারী বলেন, “আমার যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমি এখন দেশের ও দশজন মানুষের শান্তি চাই। মামলা আমি করেছি, তাই এখন আমি নিজেই তা তুলে নিতে চাই। কেউ আমাকে এতে বাধ্য করেনি কিংবা অর্থ লোভও দেখায়নি।”
তিনি আরও জানান, ফজর আলীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি পারিবারিক দেনার সূত্রে ঘটেছে। তার মা ফজরের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এ থেকেই মাঝে মাঝে ফজরের ফোন আসত। কিন্তু ফজরের ভাই বিষয়টি ভুল বুঝে উত্তেজিত হয়ে একদিন তার মোবাইল ভেঙে দেন। পরে গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসা হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই নারী বলেন, “গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফজর আলী ঘরে ঢোকে এবং আমাকে নির্যাতন করে। কিছুক্ষণ পর আরও কয়েকজন এসে ফজর আলীকে মারধর করে, এরপর আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।”
ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি সামাজিকভাবে আলোচিত হয়। নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো: আলী সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক। তাদের সবাইকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মূল অভিযুক্ত ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “পুরো ঘটনা তদন্তাধীন। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”