একটি নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী প্রায় চার শতাধিক রাজনীতিবিদের বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। গতকাল রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
এই অধ্যাদেশে পূর্বের মুক্তিযোদ্ধাদের চার শ্রেণিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে পুনঃসংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এর ফলে মুজিবনগর সরকারের এমএনএ-এমপিএ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, প্রবাসী সংগঠক ও সাংবাদিক, এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের আর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হবে না।
অধ্যাদেশে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে শুধুমাত্র তাঁকেই চিহ্নিত করা হয়েছে যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বা প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করেছেন।
এর ফলে ‘লাল মুক্তিবার্তা – স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা’ তালিকায় থাকা গণপরিষদের সদস্য, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা, বিশ্বজনমত গঠনকারী পেশাজীবী এবং অনেক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গেছে।
পটভূমি:
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত গণপরিষদে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ৪০৩ জন এমএনএ-এমপিএ অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই স্বাধীনতার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভূমিকা পালন করেন।
সরকারের ব্যাখ্যা:
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের কয়েক দফা আলোচনার পর আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাইয়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে এই অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হয়। শিগগিরই নতুনভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।