
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “মসজিদ মুসলিম সমাজের হৃদস্পন্দন। নামাজের পাশাপাশি মসজিদে সামাজিক সচেতনতা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে।”
তিনি আজ খুলনার নূরনগরে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় ইমাম সম্মেলন ও খুলনা মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৫০টি মসজিদ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। এসব মসজিদ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সামাজিক ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “যত বেশি মসজিদ তৈরি হবে, তত বেশি মানুষ নামাজের প্রতি আকৃষ্ট হবে। নামাজ মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।”
ধর্ম উপদেষ্টা আরও জানান, মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অচিরেই গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে, যা ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি।
চারতলা বিশিষ্ট এই মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এতে রয়েছে পুরুষ-মহিলাদের আলাদা অজু ও নামাজের ব্যবস্থা, অটিজম শিশু কর্নার, হজযাত্রী নিবন্ধন কেন্দ্র, ইমাম প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, মৃতদেহ গোসলের স্থান, কনফারেন্স রুম, বই বিক্রয় কেন্দ্র, গেস্ট রুম এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধা।
অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে সরকারি জাকাত ফান্ড থেকে চেক বিতরণ করেন। পরবর্তীতে তিনি মসজিদের ফলক উন্মোচন ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।