
নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা বিপুল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করার পাশাপাশি একাধিক ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। ওইদিন দুদকের পক্ষে সংস্থার কর্মকর্তা মো. সিফাত উদ্দিন আবেদন দাখিল করেন।
ক্রোক হওয়া সম্পদের মধ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় একটি ছয়তলা বাড়ি, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ৫১ দলিলভুক্ত জমি, তিনটি নৌযান ও চারটি গাড়ি রয়েছে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের নামে খোলা মোট ৩১টি ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস, ছেলে আশিক আলী, মাহতাব আলী এবং মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা এসব সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের মাধ্যমে বেহাত করার চেষ্টা করছিলেন।
দুদক জানায়, যদি সম্পদ ক্রোক না করা হয়, তাহলে রাষ্ট্র মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় এগুলো বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। এজন্য আদালতে আবেদন করা হয় এবং আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।