এলডিসি থেকে উত্তরণে ১৬ সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করলেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় স্বার্থে অকার্যকর আইন পরিবর্তনের তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য নেওয়া ১৬টি সিদ্ধান্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে এনবিআর চারটি, শিল্প মন্ত্রণালয় তিনটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দুটি এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে এবং ১৯টি সংস্থা ইতোমধ্যেই যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ট্যারিফ পলিসি ২০২৩-এর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রগতি জানানো হয়।

সভায় তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অন্যান্য রপ্তানি খাতে প্রণোদনা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, ম্যানমেড ফাইবার ও শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা, সাভারের ট্যানারি ভিলেজের ইটিপি পূর্ণমাত্রায় চালু, মুন্সিগঞ্জের এপিআই পার্ক দ্রুত চালু এবং শিল্প নীতি ২০২২ হালনাগাদ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “চামড়া শিল্প নিয়ে আমরা অবহেলা করেছি। এই শিল্প থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল, যা হয়নি।” তিনি চামড়া শিল্পের সংকট সমাধানে আলাদা একটি বৈঠকের নির্দেশ দেন।

এছাড়া আগামী দুই মাসের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের করণীয় নির্ধারণে আরেকটি সভা করার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে কার্যকর নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে হবে। যেগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে।”

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *