জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘের তদন্তে যুক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘের তদন্তে যুক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান গুমের ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘের সক্রিয় সম্পৃক্ততা কামনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “যদি জাতিসংঘ আমাদের তদন্ত কার্যক্রমে অংশ নেয়, তাহলে এই প্রক্রিয়াটি আরও শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য হবে।”

সোমবার রাজধানীর যমুনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস (WGEID)-এর ভাইস-চেয়ারপার্সন গ্রেজিনা বারানোওস্কা এবং সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাডিলো পেরেজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তারা জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল আন্তর্জাতিক কনভেনশন আইসিপিইডি-তে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রশংসা করলেও উল্লেখ করেন, এই ইস্যুতে এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, দেশে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, “কমিশনের সদস্যরা হুমকি সত্ত্বেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমি বলেছিলাম, তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলে এমন একটি হরর মিউজিয়াম থাকা উচিত, যা দর্শকদের চোখে বাস্তবতাকে তুলে ধরবে।”

এসময় তিনি বলেন, “আমরা চাই জাতিসংঘ আমাদের পাশে থাকুক, সহযোগিতা করুক, এবং আমাদের কাজকে আরো শক্তিশালী করুক।”

প্রায় ১৩ বছর পর জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের আগমন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যাতে কমিশনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে দিকনির্দেশনা ও সমর্থন দিয়ে যান, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

জাতিসংঘ প্রতিনিধি বারানোওস্কা বলেন, তারা ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে গুম নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন। তিনি তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “এই কমিশন ও তার কার্যক্রম বাংলাদেশ সরকারের বড় ধরনের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।”

তিনি জানান, তারা ঢাকার বাইরেও যাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *