
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, “জুলাই শহিদদের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে গেলে একটি সবার জন্য নিরাপদ, অংশগ্রহণমূলক এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব।”
তিনি আজ ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ নামক তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সচিব মাহবুবা ফারজানা।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “নবপ্রজন্মকে তাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিতে এবং ইতিহাস ভুলে না যাওয়ার জন্য এই তথ্যচিত্র নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শহিদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে।”
অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। শহিদদের হত্যার বিচার কার্যক্রম চলছে এবং ন্যায়বিচার যেন নিশ্চিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।”
গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসার চেষ্টা করে, আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে যেন এমন শাসন আর ফিরে না আসে।”
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “রাজনৈতিক ঐক্য থাকলে ফ্যাসিবাদ আর টিকে থাকতে পারবে না। শহিদদের যে লক্ষ্য ছিল, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এবং শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান। তাঁরা শহিদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে দ্রুত বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহিদদের পরিবার, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও নানা পেশার মানুষ।
তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ নির্মাণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর। ৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ঘটনা, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ এবং স্বৈরশাসনের দমন-পীড়নের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পুরোনো ভিডিও, স্থিরচিত্র ও অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের এক প্রেরণাদায়ী গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস।