
জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ। আজ সচিবালয়ে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “জলবায়ু অভিযোজনকে কার্যকর করতে হলে জবাবদিহিতা ও সমন্বয়ের পাশাপাশি তরুণদের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত ও পানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে তরুণদের অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেন তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশনের বিকল্প নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানান।
বৈঠকে শিক্ষা ও সামাজিক খাতে যৌথভাবে কাজের বিষয়েও আলোচনা হয়। রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শিশুরা যেমন বন্যা, অপুষ্টি ও শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হওয়ার শিকার হচ্ছে, তেমনি এর সমাধানে তরুণদের নেতৃত্বও অত্যন্ত জরুরি। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় তরুণদের নিয়ে পরামর্শ সভা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন এবং তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের জন্য একটি কাঠামোগত প্ল্যাটফর্ম তৈরির আহ্বান জানান।
ইউনিসেফ পরিবেশ শিক্ষা প্রসারে একটি যৌথ ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, যেখানে শিশুদের কণ্ঠে পরিবেশবান্ধব বার্তা তুলে ধরা হবে। উপদেষ্টা প্রস্তাবটি প্রশংসা করে বলেন, এটি বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
বৈঠকে উভয় পক্ষ শিক্ষাভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও স্থানীয় জলবায়ু উদ্যোগ পরিচালনার ব্যাপারে একমত হয়। প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনায় বর্জ্য পৃথকীকরণ, পুনর্ব্যবহার এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে দুর্যোগ প্রস্তুতির উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পরিবেশবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে তুলতে এবং টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ইউনিসেফের চিফ অব ওয়াশ পিটার জর্জ এল ম্যাস, ফিল্ড সার্ভিসেস প্রধান ফ্রাঙ্কো গার্সিয়া ও জলবায়ু প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ ভ্যালেন্টিনা স্পিনেডি।