অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচন অবশ্যই সংস্কারের পরে হওয়া উচিত। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় জনগণ যেন কোনও ধরনের অপ্রয়োজনীয় সমস্যার মুখোমুখি না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
ডা. শফিকুর রহমান আরও জানান, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে দুইটি বিষয় স্পষ্ট করার অনুরোধ করেছেন। প্রথমত, নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে, এবং দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়া দরকার। তিনি বলেন, “যদি সংস্কার সম্পন্ন না হয়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সম্পূর্ণ সংস্কার এখন সম্ভব নয়, তবে পাঁচটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর সন্তোষজনক অগ্রগতি জরুরি।
বৈঠকে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, একই দিন বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তারা একটি পরিষ্কার নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিদার। তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করছে। তিনি বলেন, “যদি সরকার পরিবর্তিত হয়, তবে বিচার প্রক্রিয়াটি স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে বছরের শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। তিনি সতর্ক করেন যে, নির্বাচনের বিলম্ব জাতিকে আবার স্বৈরাচারের পথে নিয়ে যেতে পারে এবং এর দায় বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্টদের ওপর পড়বে।