
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, “আমরা ইরানের পাশে আছি এবং তাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমর্থন জানাবো।”
তিনি আরও বলেন, “ইরান, ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসরায়েল। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি এখনই ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে প্রত্যেককেই একই ভাগ্য বরণ করতে হবে।”
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিশ্বের সকল মুসলিম দেশকে অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-কে দ্রুত এক জরুরি বৈঠকে বসে একটি যৌথ কৌশল নির্ধারণের প্রস্তাব দেন।
এদিকে, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘‘ইরানের সার্বভৌমত্বের নগ্ন লঙ্ঘন’’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ইসলামাবাদ এই সংকটময় মুহূর্তে তেহরানের পাশে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের আবাসিক ভবন, সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানে অন্তত ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক, সেনা কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে।
এই ঘটনার জবাবে ইরান পাঁচ ধাপে ইসরায়েলের ভেতরে সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। ইরানি সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হামলায় ইসরায়েলের ১৫০টিরও বেশি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো ইরান কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হামলার প্রস্তুতি চলছে এবং শিগগিরই তা কার্যকর হতে পারে।