
ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই শত। পাল্টা হামলায় ইসরায়েলেও প্রাণহানি ঘটেছে। তেলআবিব দাবি করছে, এটি ছিল ‘প্রিভেন্টিভ স্ট্রাইক’—অর্থাৎ আগেভাগে প্রতিরোধমূলক হামলা। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং কৌশলগত বিভ্রান্তি , ইরানে ইসরায়েলের হামলা |
আলজাজিরায় প্রকাশিত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইরানকে পরমাণু হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করে আক্রমণের যৌক্তিকতা দেখাতে চাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার সর্বশেষ রিপোর্টে এমন কোনো তাৎক্ষণিক হুমকির প্রমাণ নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের লক্ষ্য হতে পারে—ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা বানচাল করা, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা নেওয়া, গাজায় যুদ্ধ থেকে মনোযোগ সরানো এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান আন্তর্জাতিক মামলাগুলোকে আড়াল করা।
ইরানে ইসরায়েলের হামলা
এ হামলা শুধু সামরিক ঘাঁটিতে নয়, বরং ইরানের সরকারি ভবন, গ্যাস ফিল্ড, এবং উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করেও চালানো হয়েছে। এতে ইরানিদের মধ্যে আরও ঐক্য ও দেশপ্রেম উসকে দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্তত এখনই থামছে না এই সংঘাত। বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় অস্থিরতার ইরানে ইসরায়েলের হামলা ইঙ্গিত বহন করছে। আজ ইরানে ইসরায়েলের হামলা: রাজনৈতিক বার্তা নাকি আগ্রাসনের নতুন রূপ?