ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একসঙ্গে কাজ করতে চায় বলে জানা গেছে। এই উদ্দেশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি বার্তা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পৌঁছে দেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম।
মঙ্গলবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
নোম বলেন, ট্রাম্প তাকে ব্যক্তিগতভাবে পাঠিয়েছেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার জন্য, যাতে ইরান সংক্রান্ত বিষয়ে দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানের সঙ্গে চলমান আলোচনা এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে আনা।
সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবেই চলছে, তবে ফলাফল নিয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন দাবি করেছে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আলোচনাগুলো এখনও চলছে।
এদিকে, ইরান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, কোনো ধরনের হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তবে ইরান বরাবরই তা অস্বীকার করে বলছে, তারা কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে।
নোম আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের কাছে এমন কোনো সক্ষমতা দেখতে চান না যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে নিয়ে যেতে পারে। তিনি চান নেতানিয়াহুও একই দৃষ্টিভঙ্গি নিন।
উভয় দেশের মধ্যে মূল বিরোধের জায়গা হলো ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার। যুক্তরাষ্ট্র চায়, তা পুরোপুরি বন্ধ হোক; কিন্তু ইরান এটিকে তাদের সার্বভৌম অধিকার হিসেবে দাবি করে।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরান পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) থেকে সরে যান। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ইরানও তাদের কর্মসূচি জোরদার করে।
সম্প্রতি ইরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনো অন্তর্বর্তী চুক্তির বিনিময়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে না।