
চাঁদপুরে ইলিশের বাজারে সরকারিভাবে দাম নির্ধারণের খবরে ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে ক্রেতারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, অপরদিকে বিক্রেতা ও আড়তদাররা বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন।
স্থানীয় ক্রেতারা বলছেন, বাজারে ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, ইলিশের বাজারে সিন্ডিকেট কাজ করছে — যার ফলে দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা চান সরকার যেন কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেয় এবং নির্ধারিত দামে ইলিশ কিনতে পারে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের বাজার সম্পূর্ণভাবে সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। আড়তে পর্যাপ্ত ইলিশ না এলে নির্ধারিত দামে মাছ বিক্রি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের মতে, নদীতে মাছ ধরতে যে খরচ হয়, তা বিবেচনায় না রেখে দাম বেঁধে দিলে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাজারে সরবরাহ আরও কমে যাবে।
একজন আড়তদার জানান, “সরকার যদি মাছ ধরার খরচ ও অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে, তাহলে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে বাজারে ইলিশের ঘাটতির সময় বেঁধে দেওয়া দাম মানা কঠিন।”
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইলিশের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে আড়তদার, জেলে, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এখনো দাম নির্ধারণের কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি।
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো — ইলিশকে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা, একইসঙ্গে বাজারে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা।