
চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, “যারা পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।”
একইসঙ্গে তিনি আগামী বছরের হজ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৬ সালের হজের জন্য রোডম্যাপ ইতোমধ্যেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করা হবে এবং ২১ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হজযাত্রীদের জন্য মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, যা নির্ধারিত সরকারি হাসপাতাল বা সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি সৌদি আরবের হজ টাইমলাইন অনুযায়ী, ভিসা কার্যক্রম শুরু হবে ২০ মার্চ ২০২৬, ফ্লাইট শুরু ১৮ এপ্রিল এবং ২৯ মে ২০২৬ তারিখে পূর্ণাঙ্গ সেবা যাচাই (হজ টেস্ট) করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “লাব্বাইক অ্যাপ যেন হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য একটি কার্যকর ডিজিটাল সহায়ক হয়ে ওঠে, সে অনুযায়ী আরও উন্নয়ন ও তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।” এ বছর অ্যাপটিতে ৩০ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী নিবন্ধন করেছেন।
চলতি বছরে ৮৭,১০০ জন বাংলাদেশি হজ পালন করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১,৬১৫ জন ইতোমধ্যেই দেশে ফিরেছেন। হজ চলাকালে ৩৮ জনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২৪ জন এখনো সৌদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া হজ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে হারিয়ে যাওয়া ৮০৬টি লাগেজের মধ্যে ৭৯০টি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিন বছর ধরে কার্যকর না থাকা ৪১৫টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে এজেন্সিগুলোর কার্যকারিতা অনুযায়ী তাদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে: A+, A, B, C এবং D। যারা সেরা ক্যাটাগরি অর্জন করবে, তাদেরকে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হবে।