
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ চারটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলাগুলোতে নিহতদের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী হিসেবে উল্লেখ করে হামলার জন্য দুষ্কৃতকারীদের দায়ী করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার চারজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে এসব মামলা করেন। চার মামলায় সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫,৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতদের নিয়ে পৃথক মামলা
গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. আয়ুব হোসেন দায়ের করেন রমজান কাজী (১৭) হত্যার মামলা। অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই এনসিপির গাড়িবহর শহরের এসকে সালেহিয়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা পেয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। এসময় রমজান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মামলায় ৮০০-৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এসআই মো. শামীম হোসেন দায়ের করেন দীপ্ত সাহা (২৭) হত্যার মামলা। অভিযোগে বলা হয়, কলেজ মসজিদের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিলে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীপ্ত মারা যান। মামলায় ১,৪০০-১,৫০০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।
মোবাইল ব্যবসায়ী সোহেল রানা মোল্লার (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এসআই আবুল কালাম আজাদ। তার অভিযোগে বলা হয়, লঞ্চঘাট এলাকায় হোটেল রাজের সামনে হামলার সময় সোহেল গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালে মারা যান। মামলায় একই সংখ্যক অজ্ঞাত আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চতুর্থ মামলাটি দায়ের করেন এসআই শেখ মিজানুর রহমান, যেখানে নিহত ইমন তালুকদারকে (বয়স উল্লেখ করা হয়নি) নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়, পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এ মামলার আসামি সংখ্যাও ১,৪০০-১,৫০০ জন।
আরেকটি মামলা আসছে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া রমজান মুন্সির মৃত্যু নিয়েও পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বক্তব্য
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, চারটি হত্যা মামলা ইতোমধ্যেই রেকর্ড হয়েছে। আরেকটি মামলা রাতেই দায়ের হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।