
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক, ঢাকা ৩ আসনের সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টু ভাই রোববার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ স্কয়ার হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং শোক প্রকাশ করেন।
মোস্তফা মহসিন মন্টু দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর গণফোরাম তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে, যেখানে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি এবং মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া ড. কামাল হোসেন ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর ফেসবুক পেজে মরহুম মন্টুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোক জানিয়ে লিখেছেন:
“বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মোস্তফা মহসিন মন্টুর মৃত্যুতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তিনি ছিলেন এ দেশের একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতা-সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির নানা ক্রান্তিকালে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। তাঁর বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে খুবই কার্যকর হতো। ‘৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর গুরুত্বপূর্ন অবদানের জন্যও তিনি দেশবাসীর নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
